-এক চন্দ্রধারা
সেই চন্দ্রধারার নামই দেদীপ্যমান মুক্তিযুদ্ধ।
সৃষ্টির সময়ে ছিল
এক একেকটি আগুনের গোলক
যার সমবেত নাম বিদ্রোহী-জনতা
যেন এক আগ্নেয়গিরির যাদুঘর
টকবক হয়ে ফুটেছিল-দিগনড়রেখায়
উড়ছিল ধোঁয়ার কুÊলি
ঘনমেঘ-নীরদপুঞ্জ
কুড়ুলে মেঘ-আঁধিঝড়
তার মধ্যে থেকে উপচে উঠলো আমাদের স্বপ্নভূমি!
বিস্ময়কর রাসায়নিক মিশ্রণে
মরিয়া হয়ে উঠেছিল জনগণ
পাথরখণ্ডে সপ্তমুখী জবা ফুটলো
অসীম সাহসে-
একেকটি বরফের চাঁই গলে গলে
ফল্গুধারা তৈরি হলো !
রঙের ভিন্নতা ছিল না-
শরীরের যেকোনো স্হানে-মুখমণ্ডল, গলা, কাঁধ
হাত, পা, বুক অথবা পিঠে
সকল ধমনিতে একই রক্তের ধারা প্রবাহিত হয়েছিল
মস্তিষ্কের নিউরণে একই বাদ্যের দ্রিমি-দ্রিমি তাল ছিল
আমাদের দৃষ্টিহীনতা ছিল না
এমন কি আমরা একচক্ষু হরিণও ছিলাম না
আমাদের রক্ত জমাট বাঁধেনি
বিপন্ন সময়ে আমরা পরস্পর থেকে দূরে সরে থাকেনি
-শিরদাঁড়া উঁচু ছিল
আমাদের ছিল না পতঙ্গ-পতন !
রক্তক্ষরণের মধ্যে দিয়েও রক্তের প্রবহমানতা
-আনড়ঃনদী হয়ে জেগেছিল !
হৃদয়তন্ত্র কোন্ মন্ত্র নিয়ে জেগে উঠেছিল সেদিন ?
আমাদের কাঙ্ক্ষিত ছিল-
পরাধীনতার শৃংখলে-পরশাসিত থাকবো না
বশংবদ থাকবো না
দাসানুদাস হয়ে-পরনির্ভর থাকবো না
মেহনতি, শ্রমজীবী, কৃষিজীবীর ইশতেহার নিয়ে
শোষকশ্রেণির কব্জা থেকে বের হয়ে
-নিজের চারণভূমিতে
বৈষম্যহীন অবস্হায় সংহত হয়ে বেঁচে থাকবো !
অহিংস পথ দিয়ে আমরা যেতে চেয়েছিলাম
তবে সে পথে যেতে পারিনি-
রক্তাক্ত যুদ্ধের পথেই যেতে হয়েছিল !
ক্ষমতালোভী, সমরবণিক, যুদ্ধবাজ, ধর্মান্ধ-কালজ্ঞ শক্তি
ও সামাজ্যবাদ-
সোনার খাঁচায় আমাদের আটকে রাখতে পারেনি
আমরা হয়েছিলাম বালিহাঁস
ডাকপাখি
নীলকণ্ঠ
সোনাচড়াই !
বীতরাগ থেকে
নিঃস্পৃহতা ভেঙে আমরা জেগে উঠেছিলাম,
দ্বিধাহীনতা থেকে
অকুণ্ঠচিত্তে গীতি-নৃত্যে জেগে উঠেছিলাম,
মায়ামুগ্ধ থেকে
নিজের কোকিল সুরে জেগে উঠেছিলাম,
মনসড়াপ থেকে
ধ্যানমগ্ন হয়ে জেগে উঠেছিলাম,
ভয়গ্রসড় থেকে
দুঃসাহসে জেগে উঠেছিলাম,
শোকবিহ্বল থেকে
প্রাণপ্রাচুর্য নিয়ে জেগে উঠেছিলাম!
আর এখন-
আমরা কোন্ বিনষ্টির মধ্যে ?
আর এখন-
আমরা কোন্ কপটভাষ্যের মধ্যে ?
আর এখন-
আমরা কোন্ স্বভাবদোষের মধ্যে ?
আর এখন-
আমরা কোন্ অশ্রুলোচনের মধ্যে ?
আমাদের অলোকসামান্য মুক্তিযুদ্ধ
আমাদের দেদীপ্যমান মুক্তিযুদ্ধ
ম্রিয়মান হয়ে যাবে ?
হারাবে তার স্বভাব-সৌন্দর্য
হারাবে তার উজ্জ্বলন
ও আকাশদিউটি !
যারফলে আমাদের দৃষ্টি জ্বালানোর পিলসুজ পর্যনড় থাকবে না ?
এত অকুঞ্চিত অন্ধকার
এত ছায়া-প্রচ্ছায়া
এত অন্ধকূপ
ধূপ জ্বালানোর লতাগৃহ নেই-
রাত্রি নামে-তমসাবৃত দিন !
চলো-অধিভুক্ত হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে
চলো-কুণ্ঠামুক্ত হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে
চলো-নবাঙ্কুর হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে
চলো-প্রসববন্ধন হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে।
-গোলাম কিবরিয়া পিনু
আমাদের রক্ত জমাট বাঁধেনি
বিপন্ন সময়ে আমরা পরস্পর থেকে দূরে সরে থাকেনি
-শিরদাঁড়া উঁচু ছিল
আমাদের ছিল না পতঙ্গ-পতন !
রক্তক্ষরণের মধ্যে দিয়েও রক্তের প্রবহমানতা
-আনড়ঃনদী হয়ে জেগেছিল !
হৃদয়তন্ত্র কোন্ মন্ত্র নিয়ে জেগে উঠেছিল সেদিন ?
আমাদের কাঙ্ক্ষিত ছিল-
পরাধীনতার শৃংখলে-পরশাসিত থাকবো না
বশংবদ থাকবো না
দাসানুদাস হয়ে-পরনির্ভর থাকবো না
মেহনতি, শ্রমজীবী, কৃষিজীবীর ইশতেহার নিয়ে
শোষকশ্রেণির কব্জা থেকে বের হয়ে
-নিজের চারণভূমিতে
বৈষম্যহীন অবস্হায় সংহত হয়ে বেঁচে থাকবো !
অহিংস পথ দিয়ে আমরা যেতে চেয়েছিলাম
তবে সে পথে যেতে পারিনি-
রক্তাক্ত যুদ্ধের পথেই যেতে হয়েছিল !
ক্ষমতালোভী, সমরবণিক, যুদ্ধবাজ, ধর্মান্ধ-কালজ্ঞ শক্তি
ও সামাজ্যবাদ-
সোনার খাঁচায় আমাদের আটকে রাখতে পারেনি
আমরা হয়েছিলাম বালিহাঁস
ডাকপাখি
নীলকণ্ঠ
সোনাচড়াই !
বীতরাগ থেকে
নিঃস্পৃহতা ভেঙে আমরা জেগে উঠেছিলাম,
দ্বিধাহীনতা থেকে
অকুণ্ঠচিত্তে গীতি-নৃত্যে জেগে উঠেছিলাম,
মায়ামুগ্ধ থেকে
নিজের কোকিল সুরে জেগে উঠেছিলাম,
মনসড়াপ থেকে
ধ্যানমগ্ন হয়ে জেগে উঠেছিলাম,
ভয়গ্রসড় থেকে
দুঃসাহসে জেগে উঠেছিলাম,
শোকবিহ্বল থেকে
প্রাণপ্রাচুর্য নিয়ে জেগে উঠেছিলাম!
আর এখন-
আমরা কোন্ বিনষ্টির মধ্যে ?
আর এখন-
আমরা কোন্ কপটভাষ্যের মধ্যে ?
আর এখন-
আমরা কোন্ স্বভাবদোষের মধ্যে ?
আর এখন-
আমরা কোন্ অশ্রুলোচনের মধ্যে ?
আমাদের অলোকসামান্য মুক্তিযুদ্ধ
আমাদের দেদীপ্যমান মুক্তিযুদ্ধ
ম্রিয়মান হয়ে যাবে ?
হারাবে তার স্বভাব-সৌন্দর্য
হারাবে তার উজ্জ্বলন
ও আকাশদিউটি !
যারফলে আমাদের দৃষ্টি জ্বালানোর পিলসুজ পর্যনড় থাকবে না ?
এত অকুঞ্চিত অন্ধকার
এত ছায়া-প্রচ্ছায়া
এত অন্ধকূপ
ধূপ জ্বালানোর লতাগৃহ নেই-
রাত্রি নামে-তমসাবৃত দিন !
চলো-অধিভুক্ত হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে
চলো-কুণ্ঠামুক্ত হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে
চলো-নবাঙ্কুর হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে
চলো-প্রসববন্ধন হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে।
-গোলাম কিবরিয়া পিনু