Thursday, 13 February 2014

ভালোবাসা সীমিত করা অপরাধ


আগামীকাল ১৪ ফেব্র“য়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা মহান সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব নিয়ামত। সৃষ্টিকুলকে সজীব করে রাখার এ এক সঞ্জীবনী শক্তি। ভালোবাসা না থাকলে এ জগৎ সংসার টিকে থাকত না। সৃষ্টির আদিকাল থেকে ভালোবাসাই সৃষ্টিকুলকে প্রাণময় ও উপভোগ্য করে রেখেছে। মানুষকে করে রেখেছে উদ্দীপ্ত ও স্বপ্নময়। ভালোবাসার বন্ধন সিমেন্টের মতো সমাজবাসীর পারস্পরিক বন্ধন ও সম্পর্ককে অটুট করে রাখে। সব প্রাণীর মধ্যেই ভালোবাসার উপস্থিতি সক্রিয়। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা না থাকলে হয়তো মানুষ হিংস রোবটে পরিণত হতো। পৃথিবীকে বাসযোগ্য, শান্তিময় ও স্বপ্নময় করার ক্ষেত্রে ভালোবাসার অবদান অনস্বীকার্য।

ভালোবাসা এক ধরনের সহজাত মানবীয় গুণ। জন্মগতভাবে মানুষ এ গুণাবলী অর্জন, লালন ও ধারণ করে। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়, ভালোবাসার গুণাবলী অর্জনে তেমন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। ভালোবাসার বিশ্বখ্যাত আইকনরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভালোবাসা শেখেননি। লায়লী-মজনু, শিরী-ফরহাদ, ইউসুফ-জুলেখা বা রোমিও-জুলিয়েটকে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রশিক্ষণ একাডেমিতে গিয়ে ভালোবাসা শিখতে হয়নি। কাজেই অনুষ্ঠান করে নিজেকে অধিক ভালোবাসা-সমৃদ্ধ করা যায় মনে করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। সৃষ্টির আদিকাল থেকে ভালোবাসা পৃথিবীর সব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সহজাতভাবে সক্রিয় ও প্রবাহমান রয়েছে। নাচ-গান বা অভিনয় শেখানোর মতো ভালোবাসা শেখানোর জন্য প্রতিষ্ঠান বা প্রশিক্ষণ একাডেমি গড়ে ওঠেনি। পাশ্চাত্য জনশ্র“তি অনুযায়ী জাজক ভ্যালেন্টাইন ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ভালোবাসার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রোম সম্রাট কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় ১৪ ফেব্র“য়ারি দিনটিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রায় সোয়া যুগ হল বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সীমিত আকারে এ দিবসটির পালন শুরু হয়েছে।
ভালোবাসা দিবস পালিত না হওয়া দেশগুলোর নাগরিকরা যে ভালোবাসায় দরিদ্র, এমন নয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ভালোবাসা দিবস পালন করে ওইসব দেশের নাগরিকরা অধিক ভালোবাসাপ্রবণ হতে পেরেছেন মনে করলে ভুল হবে। স্মর্তব্য, এ উপমহাদেশে যখন ভালোবাসা দিবস পালিত হতো না, তখন এ অঞ্চলের দেশগুলোতে ভালোবাসার মোটেও ঘাটতি ছিল না। অসুস্থ মায়ের চিঠি পেয়ে মায়ের ভালোবাসার টানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিপজ্জনক জেনেও বর্ষার খরস্রোতা নদী সাঁতরে মাকে দেখতে গিয়েছিলেন। শত শত বছর আগে থেকে ভালোবাসা দিবস পালনকারী ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকরা তাদের মাকে আমাদের মতোই গভীরভাবে ভালোবাসলেও মায়ের ভালোবাসার টানে তাদের কারও টেমস বা মিসিসিপি নদী সাঁতার কেটে পার হওয়ার ঘটনা আমাদের জানা নেই।
এ উপমহাদেশে ভালোবাসা দিবস পালন শুরু হলে প্রথম দিকে সংস্কৃতিকর্মীদের অনেকে এর বিরোধিতা করেছিলেন। ভারতে ২০০৩ সালে শিবসেনার হুমকিতে মুম্বাই ও দিল্লির দোকানিরা ভ্যালেন্টাইন কার্ড বিক্রি করতে পারেননি। ওই বছর ১৩ ফেব্র“য়ারি ভালোবাসা দিবসকে ‘খ্রিস্টান সংস্কৃতির অংশ’ হিসেবে প্রচার করে শিবসেনার সদস্যরা ভ্যালেন্টাইন কার্ড বিক্রি করায় দিল্লির দুটি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ভারতবাসীকে এ দিবস পালন না করতে আহ্বান জানিয়েছিল। ঢাকায় সংস্কৃতি ফোরাম ২০০২ সালে ‘অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই’ থিম সংবলিত পোস্টার প্রকাশ করেছিল। একই বছর জাতীয় মসজিদের খতিব সাহেব ‘মুসলমানদের অনুষ্ঠান নয়’ এমন ব্যাখ্যা করে ভালোবাসা দিবস পালন থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য মোনাজাত করেছিলেন। একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা সীমিত আকারে প্রথমে ভালোবাসা দিবস পালন শুরু করলেও বাংলাদেশে পরবর্তীকালে ক্রমান্বয়ে শহরাঞ্চলের শিক্ষিত সমাজ এবং তরুণ ও যুব সমাজের অনেককে এ দিবস পালন করতে দেখা যাচ্ছে। দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ লেখাসহ শহুরে সমাজে ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে।
ভালোবাসা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ভালোবাসার বিস্তারিত পরিধি ও এর বহুমাত্রিকতাকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। স্মরণ রাখা ভালো, আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিটি সম্পর্কই ভালোবাসার উষ্ণতা ও শক্তির ওপর টিকে আছে। ভালোবাসায় ফাটল ধরলে এসব সম্পর্ক ধরে রাখা যায় না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের, পিতার সঙ্গে পুত্রের, স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর, ভাইয়ের সঙ্গে বোনের, প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমিকার, শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রের, গুরুর সঙ্গে শিষ্যের, আদর্শের সঙ্গে বিপ্লবীর, শিল্পের সঙ্গে শিল্পীর, ধর্মের সঙ্গে ধার্মিকের, ফুল বাগানের সঙ্গে মালীর, শিল্পকর্মের সঙ্গে শিল্পীর- এমন সব সামাজিক সম্পর্কই ভালোবাসার বন্ধনে অটুট হয়ে আছে। ভালোবাসার উষ্ণতাই এসব সম্পর্ককে সজীব ও প্রাণবন্ত করে রেখেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, যারা ভালোবাসা দিবস পালন করছেন, বিশেষত তরুণ-তরুণীরা, তারা তাদের ভালোবাসাকে ভ্যালেন্টাইন ডে-তে কেবল ভ্যালেন্টাইন কার্ড ও পুষ্প বিনিময়ের মধ্যে সীমিত করে ফেলেছে। ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণকারী বয়স্করাও তাদের যুব বয়সের প্রেম-ভালোবাসার আবেগপ্রবণ রসালো গল্পের স্মৃতিচারণ করছেন। এর ফলে যেসব এলাকায় ভালোবাসার চর্চা তুলনামূলকভাবে কম, ওইসব এলাকার নাগরিকরা ভালোবাসার শক্তিজাত মুনাফা লাভে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে দেশের সব শ্রেণীর সাধারণ মানুষ ভালোবাসা দিবস পালনে আকৃষ্ট হচ্ছেন না। পরিবর্তে, এ দিবসটি শহরাঞ্চলের স্বচ্ছল তরুণ-তরুণীর মধ্যেই অধিক মাত্রায় পালিত হতে দেখা যাচ্ছে।
ভালোবাসা দিবস পালনকারী দেশগুলো যদি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভালোবাসার চর্চা করত তাহলে কি পৃথিবীর চেহারা আরও প্রাণময় হয়ে উঠত না? তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র দেশগুলোর দিকে পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলো একটুখানি ভালোবাসার দৃষ্টিতে সহযোগিতার হাত বাড়ালে গরিব-দুঃখী মানুষের জীবন কিছুটা হলেও স্বস্তিময় হতে উঠত। বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যদি তুলনামূলকভাবে দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতি শোষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করার চিন্তা থেকে বেরিয়ে ভালোবাসার দৃষ্টি দিয়ে ওই দেশগুলোকে স্বচ্ছল হতে সহযোগিতা করত, তাহলে পৃথিবীর আঞ্চলিক উন্নয়ন বৈষম্য অনেকটাই হ্রাস পেত। উন্নত দেশগুলোর ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভালোবাসা দিবস পালনকারী শিক্ষিত সুশীল সমাজের মানুষদের এসব বিষয়ে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন। তাদের উচিত ভালোবাসাকে বিশ্ব মানবতার জন্য কল্যাণকারী টনিক হিসেবে কার্যকর ও প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন পরিকল্পনা ও গঠনমূলক আঙ্গিকে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান সাজানো।
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসকে একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করতে হলে এ দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজকদের উন্নত দেশগুলোর আদলে আলোচ্য দিবস পালন না করে স্বদেশী বাস্তবতা ও গণমানুষের সংস্কৃতি বিবেচনায় নিয়ে এ দিবস পালনের আয়োজন পরিকল্পনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রেম-ভালোবাসার স্মৃতিজাগানিয়া গল্প আর পারস্পরিক উপহার ও পুষ্প বিনিময়ের মধ্যে ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠান সীমিত না রেখে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে এ অনুষ্ঠানে আকৃষ্ট করতে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে শ্রমিকের প্রতি মালিকের ভালোবাসা জাগ্রত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এ প্রক্রিয়ায় রাজধানীর একটি ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানে একজন গার্মেন্ট মালিক-শিল্পপতিকে সসম্মানে প্রধান অতিথি করে ওই অনুষ্ঠানে তার গার্মেন্টে কর্মরত শ্রমিদেরও দাওয়াত দিয়ে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে পুষ্প বিনিময় করিয়ে সম্মানিত শিল্পপতিকে দিয়ে যদি শ্রমিকদের ওপর তার ভালোবাসার নিদর্শনের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সামান্য পরিমাণে মাসিক মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ানো যায়- তাহলে শ্রমিক সমাজ এরকম অনুষ্ঠানে ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে ভালোবাসার শক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব হ্রাস পেয়ে ওই সম্পর্ক মিত্রতাপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশের অসুস্থ রাজনীতি ও রুগ্ণ গণতন্ত্রের উন্নয়নে ভালোবাসার শক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ কোথায়? এ দেশের রাজনীতিতে যেহেতু পরশ্রীকাতরতা ও প্রতিহিংসা খুবই সক্রিয়, সে কারণে এহেন রাজনীতিকে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে ভালোবাসার উষ্ণতাকে ব্যবহার করতে অসুবিধা কোথায়? জাতীয় রাজনীতিতে দুটি বড় দলের দুই প্রধান নেতার মধ্যে অনেকটা এলার্জিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। তারা একে অপরের মুখ দেখেন না, পরস্পরের সঙ্গে বাধ্য না হলে কথাও বলতে চান না। জাতীয় সংকটে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেন না। বড় দলগুলোর অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যকার সম্পর্কও সৌহার্দ্যপূর্ণ নয়। এখানে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলকে কোণঠাসা ও পর্যুদস্ত করতে এবং বিরোধী দল ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে নিজেরা ক্ষমতায় যেতে চায়। অথচ গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার জন্য প্রয়োজন সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার সম্পর্ক। কাজেই ভালোবাসা দিবসের আয়োজকদের উচিত রাজনীতি ও গণতন্ত্রের সুস্থতার লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভালোবাসার সঞ্জীবনী টনিক ব্যবহার করে এ ক্ষেত্রে সুস্থতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ভালোবাসা দিবসের কোনো একটি অনুষ্ঠানে আয়োজকরা দেশের দুই প্রধান নেতাকে অতিথি করে তাদের মধ্যে পুষ্প বিনিময় করাতে পারলে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিহিংসার মাত্রা কমানো সম্ভব হতো। এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন বিবদমান সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন, মাল্য ও পুষ্প বিনিময় সম্পন্ন করে গণমাধ্যমে সেসবের প্রচার করাতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত হ্রাস পেত। এমন গঠনমূলক চিন্তা না করে ভালোবাসা দিবসের সম্মানিত আয়োজকরা ভালোবাসার বহুমাত্রিকতা উপেক্ষা করে কেবল তরুণ-তরুণীদের চলমান বাক-বাকুম প্রেমে উষ্ণতা সঞ্চারের উদ্যোগ নিয়ে এ দিবস পালন করে ভালোবাসার মতো একটি সম্ভাবনাময় শক্তিকে সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেয়ার পরিবর্তে কেবল শহরাঞ্চলের সচ্ছল পরিবারের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সীমিত করে ফেলছেন। এভাবে ভালোবাসার বহুমাত্রিক ব্যবহার উপেক্ষা করে কেবল একটি এলাকায় এ শক্তির ব্যবহার সীমিত করা আহাম্মকি ও অপরাধ। ভালোবাসা দিবস উদযাপনে এমন উদাহরণ সৃষ্টি করা উচিত, যার মধ্য দিয়ে মানুষ সমাজের সব ক্ষেত্রে ভালোবাসার উষ্ণতা ছড়িয়ে, ভালোবাসার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘৃণা, প্রতিহিংসা, অন্ধকার ও অসুস্থতা দূর করতে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে সমাজ, দেশ ও পৃথিবীকে অধিকতর সুস্থ, সুন্দর, প্রাণবন্ত, মানবিক ও ভালোবাসাময় করে
তুলতে পারেন।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com