Thursday, 15 January 2015

প্রহসন ও পোড়ামাটি নীতির রাজনীতি -- ড. রাশিদ আসকারী

খালেদা জিয়া ও অমিত শাহ’র কথিত ফোনালাপ নিঃসন্দেহে জনমত জরিপে বছরের সেরা রাজনৈতিক প্রহসন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবে। বিএনপি নেত্রীর প্রেস সেক্রেটারির বরাতে সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিকভাবে বিধৃত এই ফোনালাপের সংবাদ কেবলমাত্র চায়ের কাপে ঝড়ই তোলেনি, পুরো দেশের অবরোধ-উত্তপ্ত রাজনীতির আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়ার উপক্রম করতে বসেছিলো। কম কথা নয়! ভারতের সরকারি দলের খোদ সভাপতি স্বপ্রণোদিত হয়ে পিপার স্প্রে পীড়িত প্রতিবেশী দেশনেত্রী’র শারীরিক কুশলাদির খোঁজ-খবর নিয়েছেন, তাঁর দ্রুতারোগ্য কামনা করেছেন। এটা কেবলই রাজনৈতিক সৌজন্য নয়, এর ভেতরে সুস্পষ্ট সমর্থনের আলামত আছে- যা বর্তমানে ‘অবরুদ্ধ’ বিএনপি নেত্রীর জন্যে অক্সিজেনের মতো কাজ করবে বলে মনে করা হয়েছিলো। কিন্তু পড়বি পড় মালির ঘাড়ে। ‘ছিদ্রান্বেষী মিডিয়াম্যানেরা’ কারো মঙ্গল সহ্য করতে পারে না। দুই রাজনৈতিক নেত্রীর সৌজন্যমূলক ফোনালাপের মধ্যেও তারা সত্যাসত্যের গন্ধ শোঁকার চেষ্টা করেছেন এবং অনুসন্ধান শেষে কোনো রকম রাখ ঢাক না করেই একেবারে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন। দু-দুটো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংযোগে ভেসে-এসেছে খোদ অমিত শাহের কণ্ঠস্বর: ‘It’s a rumour’, ‘It’s fake news’. কল্পনার হাওয়ায় ফোলানো বেলুন সত্যের খোঁচায় সশব্দে ফেটে গেলো। এই বেলুন না ফাটলে কতোটুকু লাভ হতো জানি না, কিন্তু ফেটে যাওয়ায় সীমাহীন ক্ষতি হলো বেলুন আয়োজকদের। একেই বলে প্রহসনের রাজনীতি। এই হাস্যকর প্রহসন একটি রাজনৈতিক দলের চরম অসহায়ত্ব এবং দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে। কি দরকার ছিলো এমনটি করার? বিএনপির রাজনৈতিক অর্জন কি এমনি তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে যে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে কল্পকাহিনীর আশ্রয় নিতে হবে। আর এটি কেবল একমাত্র ঘটনা নয় যে, অত্যুত্সাহী অর্বাচীন প্রেস সেক্রেটারির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারতো। বস্তুত, দীর্ঘ ক্ষমতা-উপোসী, সংক্ষুব্ধ, অনন্যোপায় বিএনপি চেইন বিক্রিয়ায় এরকম প্রহসনের জন্ম দিয়ে চলেছে। অবরুদ্ধ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানরা উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস যে সংবাদ পরিবেশন করেছিলো তাও পরে অসত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং পত্রিকাটি দুঃখ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিও উক্ত বিবৃতিকে বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছে। এ ধরনের মিথ্যে-বিবৃতির মাধ্যমে দেশ-বিদেশে জনমত সৃষ্টির যে অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পেছনে যে উচ্চ বেতনভুক গোয়েবল্সীয় প্রোপাগাণ্ডা চক্র জড়িত- তারাই যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর চেহারা চাঁদে দেখেছিলেন এবং কাবাঘরের গিলাফ নিয়ে তার মুক্তিমিছিলের কাহিনী রচনা করেছিলেন। খালেদা-অমিত শাহ’র ফোনালাপ কাহিনীও যে এই চক্রেরই উর্বর মস্তিষ্ক প্রসূত তা ভাবা মোটেও অসঙ্গত নয়। “All is fair in love and war”. প্রেমে এবং যুদ্ধে নাকি-সবই সুন্দর, সবই সমর্থনযোগ্য। বিএনপি জামায়াত যৌথভাবে যে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে যে যাই বলুক না কেনো, ক্ষমতার প্রেমে, কিংবা ক্ষমতা পুনর্দখলের যুদ্ধে জোটবদ্ধ বিএনপি সুন্দরই জ্ঞান করছে। তাই ফোনালাপের প্রহসন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও বেগমের প্রেস সচিব তা প্রত্যাখ্যানের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপিকে কেনো এই প্রহসন নাটক মঞ্চস্থ করতে হচ্ছে? স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি একটি অপরিহার্য রাজনৈতিক ধারা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে দলটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাও রয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা একজন বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এইসব বিবেচনা এখন দলটির বর্তমান প্রেক্ষাপটে, একেবারে গৌণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সাথে নির্বাচনী ঐক্য দলটিকে এমনই এক অসহায় অবস্থানে নিয়ে গেছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, রায় ঘোষণা এবং তা কার্যকর করার প্রশ্নেও দলটিকে মুখে কুলুপ এঁটে রাখতে হচ্ছে। সম্পূর্ণ জামায়াত নির্ভরতার কারণে বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা দলটির এ যাবত্কালের সবচেয়ে বড়ো ভুল বলে গণ্য করা হচ্ছে ।বস্তুত, প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির ভূত বিএনপির ঘাড়ে স্থায়ীভাবে চেপে বসেছে। তাই নব্বইয়ের গণআন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথ উত্তপ্ত করার যে ঐতিহ্য, তা ভুলে আন্ডারগ্রাউন্ড জঙ্গি জিহাদীদের মতো চোরাগুপ্তা হামলার রাজনীতিতে মুক্তির পথ খোঁজা বিএনপির রাজনীতির জন্যে কতোটুকু লাভজনক হচ্ছে— তা অবশ্যই বিবেচনার দাবি রাখে। আর গণবিচ্ছিন্ন এবং সন্ত্রাসনির্ভর গুপ্ত রাজনীতির একটি বিশেষ দিক হলো প্রোপাগান্ডা। আত্মশক্তি এবং প্রকাশ্য রাজনীতির ক্ষমতা হারিয়ে, বিএনপি যদি ক্রমাগত এ ধরনের প্রোপাগান্ডা রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ে তা হলে বিএনপির জন্যে তো বটেই, দেশের রাজনৈতিক চরিত্র ও গণতন্ত্রের জন্যে তা অমঙ্গল বয়ে আনবে। সব মানুষকে কিছু সময়ের জন্যে, কিংবা কিছু মানুষকে সব সময়ের জন্যে বোকা বানিয়ে রাখা যায়। কিন্তু, সব মানুষকে সব সময়ের জন্যে বোকা বানিয়ে রাখা যায় না।

প্রোপাগান্ডায় ইন্ডিয়া কার্ড ব্যবহার বিএনপি-জামায়াতের যৌথ রাজনীতি চর্চার একটা পুরনো দিক। মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পর থেকেই বাংলাদেশি রাজনীতির একটি অংশ জনগণকে ভারতীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে আসছে। ভারত সমর্থিত রাজনীতি এ দেশে ক্ষমতায় বসলে বাংলাদেশ ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিগণিত হবে; মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে। এরকম প্রোপাগান্ডা শোনেনি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। কিন্তু স্বাধীনতার চার দশক পরও সেই প্রোপাগান্ডার বাস্তবায়ন দেখেছে, এমন মানুষও পাওয়া যাবে না। এবং সম্ভবত যে কারণেই রাজনীতি ভারত কার্ড প্রদর্শনকারীরা এবারে কার্ডের উল্টো পিঠ দেখানোর কৌশল গ্রহণ করেছে। কংগ্রেসাধীন ভারতীয় জুজু এখন বিজেপি-অধীন শুভানুধ্যায়ীতে পরিণত হয়েছে। অসুস্থ নেত্রীর খোঁজখবর নিচ্ছে। বস্তুত, ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে পালাবদল প্রত্যাশীরা নতুন সমীকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই সমীকরণ স্বাভাবিক নিয়মে না মেলায় তারা কাল্পনিক সংখ্যাযোগে হিসাবে মেলাতে চায়। বিজেপি কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ, কংগ্রেস আওয়ামী লীগের মিত্র, আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ, অতএব বিএনপি কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ এবং বিজেপি’র মিত্র। এই সরল সমীকরণ মিলিয়ে ‘সত্য হওয়া স্বাভাবিক’ ধরনের একটি কল্পকাহিনী তারা প্রচার করে। কিন্তু গোয়েবলসে্র যুগ আর এখন নেই। ঘটনার সত্যাসত্য যাচাইয়ের রকমারি পন্থা এখন সাধারণ মানুষের হাতে। তবে খালেদা-অমিত প্রোপাগাণ্ডা ভ্রান্ত প্রমাণিত হওয়ায় দল বিশেষের রাজনৈতিক সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিল ডিনামিক্স্ নিয়ে সৃষ্ট অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। ভারতের মতো উদীয়মান একটি পরাশক্তির অভ্যন্তর ক্ষমতা বদল যে তাদের প্রতিবেশী নীতি বা পররাষ্ট্র নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনে না তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। আরেকটি জিনিস স্পষ্টীকৃত হয় যে, বাংলাদেশে ‘ভারত কার্ড’ ব্যবহারের দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে স্বদেশের নীতি-আদর্শ মূল্যবোধের আলোকেই, আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়েই রাজনীতি করতে হবে। ভিন্নদেশের দারস্থ হয়ে নয়।

প্রোপাগান্ডার রাজনীতি আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে, কিন্তু তার চাইতে অনেক অনেক বেশি ক্ষতি হয় হরতাল অবরোধের রাজনীতিতে। গণস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে হরতাল অবরোধ করার সকল অধিকার সংরক্ষণ করে একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু সেই রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের নামে সীমাহীনভাবে অবরোধ চালিয়ে যাওয়া, যাত্রীপূর্ণ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ঘটানো, বিশ্ব ইজতেমার মতো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করা কোন রাজনৈতিক অধিকার পদবাচ্য তা অবরোধকারীরাই জানেন। বাংলাদেশের টপ বিজনেস চেম্বারের হিসাবমতে, অবরোধ শুরুর পর থেকে কেবলমাত্র পরিবহন খাতেই প্রতিদিন প্রায় ২৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার ক্ষতি হচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। বিলাপে মেতেছে কৃষকেরা ক্ষেতভর্তি পচা সবজি নিয়ে। আতংকের প্রহর গুনছে অভিভাবকেরা স্কুল-পড়ুয়া সন্তানদের ফেরার পথ চেয়ে । অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ আর আশংকার পাশাপাশি চলমান হরতাল ও অবরোধের কারণে অর্থনীতির সবখাত মিলে প্রতিদিন অন্তত ষোল ’শ থেকে দু’হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এ হিসাবে গত দশ দিনের রাজনৈতিক সংঘাতে দেশের আর্থিকখাতেই ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বর্তমানের আশাতীত প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় নিয়ে কতোক্ষণ তুষ্ট থাকা যাবে? গার্মেন্টস খাতে ইতোমধ্যেই অশনি সংকেত দেখা দিতে যাচ্ছে। শত সংকটের ভেতরেও ধীরে ধীরে মধ্য আয়ের দেশের দিকে অগ্রসরমান একটি দেশের জন্য- এই অনন্তকালব্যাপী অবরোধ কি আত্মহত্যার শামিল নয়?

কিন্তু কিভাবে রোধ করা যায় এই জাতীয় আত্মহনন? অবরোধকারীদের দাবি মেনে নিলেই কি সব সমস্যার তেলেসমাতি সমাধান হবে? ‘নিহত গণতন্ত্র’ পুনরুদ্ধারের যে শ্লোগান তারা তুলেছে তার পুরোটা জুড়ে আছে তাদের ক্ষমতা দখলের সিঁড়ি। দেশে উন্নয়নের প্লাবন এলেও তারা সন্তুষ্ট হবে না। নির্বাচিত হওয়ার অধিকার তাদের আছে। আবার জনমত সংগঠিত করে নির্বাচন এগিয়ে আনার অধিকারও তাদের আছে। এ-দুটোই নির্ভর করবে তাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর, কোনো হঠকারি, দায়িত্বহীন সহিংস কর্মসূচির ওপর নয়। যারা এই নকশালী ধারার আন্দোলনের চালিকাশক্তি— তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ চায় বলে মনে হয় না।  বিএনপি’র নিজেদের ভেতরেও অনেকের এই স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তি দৌরাত্ম নিয়ে অস্বস্তি আছে। সব মিলে গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উভয়কেই একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায় এখন জাতির। সে প্রশ্নে জাতির সামনে এক ক্রান্তিকাল-বিরাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধ চর্চার নামে যেমন- গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না, আবার গণতন্ত্র চর্চার নামে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায়িত করা যাবে না। এই দায় সরকারের ওপরই বর্তায় বেশি। সরকারেরই উচিত একদিকে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। প্রোপাগান্ডা ও পোড়ামাটি নীতির সহিংস রাজনীতি ছেড়ে এবং এসবের হোতা-স্বাধীনতাবিরোধী-জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ছেড়ে বিএনপিকে যেমন একাত্ম হতে হবে মুক্তিযুদ্ধ-প্রিয় গণমানুষের সাথে, করতে হবে প্রকাশ্য রাজপথের রাজনীতি, সরকারি দল আওয়ামী লীগকেও তেমনি উদার গণতন্ত্র চর্চার পথ সুগম করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অহিংস বিরোধী রাজনীতির অনিবার্যতার কথা বলা আছে। গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ এই অহিংস রাজনৈতিক বৈচিত্র্যের বিকাশের পথ রচনা- সরকারি ও অসরকারি উভয় ঘরানার রাজনীতির- আশু কর্তব্য।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপক