Saturday, 28 February 2015

যুদ্ধাপরাধীদের কুকীর্তি : শিশুপাঠ্য হলে কেমন হয় ?

একঃ কারো বিরুদ্ধে আদালতে ‘বিচারাধীন অভিযোগ’ এবং সেই অভিযোগ শুনানির শেষে ‘আদালতের রায়’, -এ দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ‘অভিযোগ’ প্রমাণের অপেক্ষা রাখে। কিন্তু ‘আদালতের রায়’ প্রতিষ্ঠিত সত্য, তা অস্বীকার, উপেক্ষা বা সমালোচনা করাটা অপরাধ। আধুনিক কালে পৃথিবীর সকল সভ্য দেশেই এই রীতি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭১ এ রাজাকার, আল-বদরেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করতে যেয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিল। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, গণহত্যা, ধর্মান্তর, বাড়ীঘর জ্বালানো-পোড়ানো আরো কত কি! এই সত্যগুলো একশ্রেণীর মতলববাজ-দেশদ্রোহী-কুরাজনীতিক গত তেতাল্লিশ বছর অস্বীকার করতে চেয়েছে। সেই ‘সত্য-অস্বীকারের’ রাজনীতিতে (!) তাদের সাফল্যও কিছু কম নয়। কিন্তু আজ আর সেটা সম্ভব নয়। যুদ্ধাপরাধ বিচার মামলার রায়গুলো এ সত্যকে আইনি ও সামাজিকভাবে চিরদিনের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে।

উদাহরণস্বরূপ বলি, মানবতা বিরোধী অপরাধ বিচার ট্রাইবুনাল রাজাকার শিরোমনি গোলাম আজমের মামলার রায়ে উল্লেখ করেছেন, গোলাম আজম একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের পেছনের মূলব্যাক্তি, তিনি শান্তিবাহিনী গঠনের নেপথ্য নায়ক। মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস বাংলাদেশে যে ‘ম্যাসিভ জেনোসাইড’ হয়েছে, গোলাম আজম তার ‘মাস্টার মাইন্ড’। তার বিরুদ্ধে আদালতে সন্দেহাতীতভাবে যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিরু মিয়া ও তার ছেলেসহ ৩৮জনকে একসাথে হত্যার নির্দেশদান অন্যতম। সিরু মিয়াদের অপরাধ ছিল, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে ট্রেনিং নিতে আগ্রহী যুবকদের এবং জীবনের ভয়ে ভীত সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভারতে যেতে সহযোগীতা করেছিল। তো গোলাম আজমের বিরুদ্ধে এই কথাগুলো এখন আর নালিশ নয়, ঐ অপকর্মগুলো সে করেছে, এটা আদালতের রায়ে এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য।

ঢাকার মিরপুরের কসাই নামে খ্যাত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্যার বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। প্রমাণিত ঐ অভিযোগগুলোর মধ্যে মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে হত্যার নির্দেশ, কবি মেহেরুন্নেচ্ছা, তাঁর মা ও দুই ভাইকে হত্যা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে মিরপুর জল্লাদখানা পাম্পহাউজে নিয়ে জবাই করে হত্যা, মিরপুরের আলোকদী গ্রামে গণহত্যা, হজরত আলী লস্করকে তার স্ত্রী, দুইকন্যা এবং দুই বছরের শিশুপূত্রসহ হত্যা ছাড়াও আলী লস্করের মেয়েদের ধর্ষণের অভিযোগগুলো রয়েছে। তো কাদের মোল্যা একজন ধর্ষক, হত্যাকারী, এটাই এখন দিবালোকের মত সত্য!

পিরোজপুরের দেল্যু রাজাকার ওরফে মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী’র বিরুদ্ধে আদালতে ৮টি অভিযোগ সন্দেহের উর্ধ্বে প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম, (১) ১৯৭১ সালের ৭ই মে সাঈদীর নেতৃত্বে শান্তি কমিটির একটি দল পাকিস্তানী সেনাদের নিয়ে পারেরহাট বাজারে হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের দোকান ও বাড়ীতে লুটপাট চালায় এবং মাখনলাল সাহার দোকান থেকে ২ কেজি স্বর্ণ লুট করে। (২) ১৯৭১ সালের ৮ই মে সাঈদী বাদুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খান ও তার ছেলেকে পাকিস্থানী সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেয়, যারা আর কখনও বাড়ী ফেরেনি। (৩) ১৯৭১ সালের ২রা জুন সকাল ১০টার দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে সশস্ত্র দল উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার চিত্তরঞ্জন, জহর তালুকদার, হরেন ঠাকুর, অনিল মন্ডল, বিসাবালি, শুকাবালী, সতীশ বালাসহ প্রায় ২৫টি বাড়ীতে আগুন দেয় এবং বিসাবালিকে নারকেল গাছের সাথে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। (৪) তখনকার টগবগে যুবক দেল্যু রাজাকার মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে তার রাজাকার বাহিনী নিয়ে হোগলাবুনিয়া গ্রামের হিন্দুপাড়ায় শেফালী ঘরামির ঘরে ঢুকে তাকে উপর্যুপরি গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে অন্য আরেকদিন সাঈদীর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের রাজাকার দল পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ী থেকে তার তিন বোন মহামায়া, অন্যরাণী ও কমল রাণীকে ধরে পাকিস্তানী সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে টানা তিনদিন গণধর্ষণের পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। (৫) পারেরহাট ও আশপাশের গ্রামের মধুসুদন ঘরামী, কৃষ্ট সাহা, অজিত শীল, নারায়ণ পাল, অমূল্য হাওলাদার, হরি রায়সহ প্রায় ১৫০ জন হিন্দুকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় এবং তাদেরকে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হয়। এগুলো হলো সাঈদী কু-কীর্তির ‘আদালতে প্রমাণিত’ কয়েকটি নমুনা।

১৯৭১ এ মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত অনেকেরই বিচার শেষ হয়েছে বা চলছে। যাঁদের বিচার শেষ হয়েছে এবং যে অভিযোগগুলো আদালতে প্রমাণ হয়েছে, সেগুলো আর অভিযোগ নয়, তা প্রমাণিত সত্য।

দুইঃ “আম্মার হাতের তালের পাখা” আর “যাদব বাবুর পাটিগণিত” -এই দুটোর ডরে শৈশবে সদা টটস্থ থেকেছি। নানান অজুহাত তৈরী করে আম্মা তালের পাখাগুলো আমার পিঠে ভেঙ্গেছেন। ‘জামার বোতাম উপরেরটা খোলা কেন’, ‘পড়ার টেবিলের নিচে ফুটবল কেন’, ‘পশ্চিমপাড়ার ঐ দুষ্টু ছেলেগুলোর সাথে স্কুল থেকে ফিরছিলি কেন’, ‘হাঁটার সময়ে পায়ের গোড়ালি মাটিতে ঠিকমত পড়লোনা কেন’, ইত্যাদি নানান কারণ সৃষ্টি করে আম্মা পেটাত। সন্তান শাসনে (পেটানোতে) আম্মার উদ্ভাবনী ক্ষমতা নোবেল পাওয়ার দাবী রাখে। শৈশব-কৈশরে মায়ের ঐ পিটুনিগুলো অত্যাচার মনে হলেও আজ মধ্য বয়সে এসে বেশ বুঝতে পারি, জীবন গঠনে ঐ ‘তালের পাখার পিটুনি’ কতটা সহায়ক ভুমিকা রেখেছে।

পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিশেষ যন্ত্রণা দিতে পারেনি, তবে ক্লাশ সিক্স থেকে শুরু হলো ‘পাটিগণিত আতঙ্ক’! বৎসর ঘুরে শ্রেণী যত এগোয় অর্থাৎ ক্লাস সেভেন, এইট, নাইন, -পাটিগণিত ততই জটিল আকার ধারণ করে। ল.সা.গু, গ.সা.গু, সরল অঙ্ক, সুদকষা, ঐকিক নিয়ম, চলিত নিয়ম, আরো কত জটিল সব অঙ্ক। ‘অঙ্কে কম নম্বর পেলে তালের পাখা আস্ত থাকবেনা’, আম্মার এটা প্রকাশ্য ঘোষণা। ‘যাদব বাবু’ দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন, তাঁর বাবা-মায়ের গৃহশিক্ষক রাখবার ক্ষমতা ছিল না। তিনি যদি পাটিগণিতে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করতে পারেন, তবে ‘আম্মার ছেলে’ পারবে না কেন ? অকাঠ্য যুক্তি মায়ের!

আমিও আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি পাটিগণিতের লাগাম ধরতে। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত দিস্তা দিস্তা কাগজ অঙ্ক কষে শেষ করেছি। ইতিহাস, ভুগোল, ইংরেজী, বাংলা (দ্বিতীয়পত্র) ইত্যাদি সাবজেক্টগুলোতে যতটা সময় ব্যয় করেছি, তার দশগুন সময় ঢেলেছি পাটিগণিতের পেছনে। কিন্তু গণিত অধরাই থেকেছে সব সময়। সকালে মিললো তো রাতে ভুলেছি, সুদকষাটি পারলাম তো ঐকিক নিয়মটি মিলছেনা। শৈশব-কৈশরে ‘পাটিগণিত’ ছিল এক অসহনীয় মানষিক চাপ ও যন্ত্রণা, যেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক!

পাঠক, ‘পাটিগণিত আতঙ্কে’ কি শুধু আমারই শৈশব কেটেছে, আপনাদের নয়? নিশ্চয়ই আপনাদেরও আমারই মত অভিজ্ঞতা আছে (কিছু কমবেশী)। আজকের এই পরিনত বয়সে গণিতের সেই নিয়ম-কানুনগুলো হুবহু আপনার স্মরণে আছে কি? শৈশবের সেই ‘সরল অঙ্কটি’ যে নিয়ম মেনে শিখেছিলেন, তা কি আজ হুবহু মনে করতে পারেন? পারবেন কি আজ সেই ঐকিক নিয়মের অঙ্কটি মিলিয়ে দিতে? আসলে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা পাটিগণিতের শাখায় শাখায় বিচরণ করেছি, আজ আর হুবহু তা মনে নেই।

পাটিগণিত গ্রন্থখানির প্রণেতা যাঁরা, অর্থাৎ যাঁরা গ্রন্থখানি পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন, তাঁরা কি জানতেন না যে গনিতের ঐ ফরম্যাটগুলো পরিনত বয়সে আমরা বেমালুম ভুলে যাবো? নিশ্চয়ই তাঁরা তা জানতেন। তাহলে কেন গ্রন্থপ্রণেতারা পাটিগনিতকে পাঠ্য তালিকাভুক্ত করে আমাদের শৈশব-কৈশর যন্ত্রণাদায়ক করে তুলেছিলেন? আমি বলবো তাঁরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই সঠিক কাজটি করেছিলেন। শৈশবে ঐ অঙ্ক শেখানোর নাম করে ‘সমস্যাগুলোকে’ আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন এবং তা ঐকিক, চলিত, সুদকষা ইত্যাদি নানা পদ্ধতিতে আমাদের দিয়ে সমাধান করিয়ে নিয়েছেন। আসলে ঐ শৈশবেই তাঁরা আমাদের মগজ-ধোলাই করে দিয়েছেন। অঙ্কশাস্ত্রের মাধ্যমে ‘কঠিন সমস্যাগুলো’ সমাধান করিয়ে মস্তিস্কের চিন্তাগ্রন্থিগুলোকে খুলে দিয়েছেন। আজ আর আমাদের সুদকষা বা চলিত নিয়মের প্রথাগত নিয়ম স্মরণে নেই, কিন্তু জীবনের জটিল অঙ্কগুলো মেলাবার জন্য মস্তিস্ক তৈরী হয়ে আছে। শৈশবের সেই ‘গাণিতিক জ্ঞান’ আজ আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নেপথ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ‘গণিতের সমাধান’ বা ‘মায়ের তালের পাখার পিটুনি’র মত শৈশবের শিক্ষাগুলো আমাদের অবচেতন মনকে তাড়িত করে এবং বর্তমান জীবন-চলার পথকে নেপথ্যে থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। মোটাদাগে বলা যায়, পরিনত বয়সে ব্যক্তির বিচার-বোধ, ন্যায়-অন্যায় জ্ঞান, তার শৈশবের বেড়ে উঠার ধারাবাহিকতা মাত্র।

শেষকথা ঃ
পাঠক, বলছিলাম ‘পাটিগণিত’ এবং ‘মাতৃশাসনের’ কথা। অর্থাৎ শৈশবেই নিয়ম-শৃংখলা, ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, ভাল-মন্দ এগুলো মগজে-মমনে ঢুকিয়ে দেবার প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে আজকের যারা শিশু-কিশোর, তারাও কিন্তু আপনার আমার মতই ‘গণিত’ ও ‘পারিবারিক শাসন’ কাঠামোর মধ্যেই বড় হচ্ছে। ভবিষ্যত জীবনের জন্য তারা একটু একটু করে অভিজ্ঞতা ও জীবন-দর্শন প্রতিদিন অর্জন করছে। আজকের দিনের শিশুকে যেটা শেখানো হচ্ছে, আগামী দিনে সে তার পথচলায় তারই প্রতিফলন ঘটাবে।

আমরা প্রায়সই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি, সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা বলি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা অদর্শতো মূর্তিমান নয়, তাতো দেখা যায়না, হাত দিয়ে স্পর্শও করা যায় না, -সেতো বিমূর্ত, অনুভব করবার বিষয়! চেতনাটি আসলে মননে থাকতে হবে, এটি অন্তরে ধারণ করার বিষয়। কিন্তু কেমন করে সেটি সম্ভব?

আজকের যারা শিশু-কিশোর ভবিষ্যত বাংলাদেশের তারাই চালক। আমরা যদি শৈশবেই এই ভবিষ্যত চালকদের মগজে যুদ্ধাপরাধীদের অপকর্মগুলো ঢুকিয়ে দিতে পারি, তাহলে শিশুদের মনে ঐ কুলঙ্গারদের প্রতি ঘৃণা স্থায়ীভাবে গেঁথে যাবে। আপনি আর আমি আজ যেমন পাটিগণিতের নিয়ম হুবহু মনে করতে পারি না কিন্তু জীবনের অংক ঠিকই বুঝতে পারি অথবা মায়ের পিটুনির ব্যাথা আজ আর অনুভব করি না, কিন্তু তাঁর শেখানো সেই শৃংখলাবোধ দিয়েই আজও প্রতিনিয়ত জীবন পরিচালনা করি।

আদালতে প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধীদের ঐ অপকর্মগুলো পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করে শিশুদের মগজে যদি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধটি কি এবং কেন, এর বিপক্ষে কারা ছিল, তারা কি ধরণের অপকর্মগুলো করেছিলো, -শিশুদের মননে সেগুলো স্থায়ীভাবে গেঁথে যাবে। একই সাথে কেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে হয়েছিল, কাঁরা তা করেছিল, তাঁদের কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল, -আগামী দিনের ভবিষ্যত নাগরিকেরা ঐ পাঠ্যপুস্তক থেকেই সেই জ্ঞানও অন্তরে ধারণ করবে। বাংলা, ইংরেজী, অঙ্ক, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোলের পাশাপাশি ‘নিজ দেশের জন্ম ইতিহাস’ জ্ঞানধারী ঐ শিশুকে আর দেশপ্রেম শেখাতে হবেনা। সে তার পরিনত বয়সে কখনওই ‘দলবাজি’ করবেনা, শুধুই ‘দেশবাজি’ করবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুদ্দাপরাধীদের অপকর্ম, নির্যাতন, ধর্ষণ, বাড়ীঘর জ্বালানো-পোড়ানোর ঘটনাগুলি যদি পেশাদার লেখকদের দিয়ে সুখপাঠ্য করে লিখিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘অবশ্য পাঠ্য’ করা হয়, তাহলে অবশ্যই ভবিষ্যত বাংলাদেশে ‘অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে’ -এমন একটি জাতি গঠন করা সম্ভব। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত কর্তাব্যাক্তিরা বিশেষ করে পাঠ্য পুস্তকের প্রণেতারা এবং এই নিবন্ধের পাঠকেরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

(লেখক :- সাজ্জাদ আলী, বাংলা টেলিভিশন কানাডা’র অন্যতম নির্বাহী কর্মী)