Wednesday, 18 March 2015

আমার ‘মুজিব ভাই’: একজন মহান সংগ্রামী - মুস্তাফা নূরউল ইসলাম




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়ায় জš§গ্রহণ করেন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু লেখা একেবারে খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমি শুধু তাঁর জš§দিনে তাঁকে ঘিরে কিছু স্মৃতিচারণ করছি। বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য স্থান দখল করে আছেন তিনি তাঁর কর্মের কারণেই। ইতিহাসের মহানায়ক বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা, আমাদের কাণ্ডারি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে এক অনন্য অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে আমি চিনি অনেক আগে থেকেই। সময়ের হিসাবে যদি বলি আজ থেকে ঊনসত্তর বছর আগে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। বয়সে তিনি আমার চেয়ে সাত বছরের বড়। ১৯৪৬ সালে আমি পড়তাম দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। আর তিনি পড়তেন কলকাতায়, তখনকার ইসলামিয়া কলেজে। তখনকার রেওয়াজ অনুযায়ী মফস্বলের ছেলেমেয়েরা কলকাতায় ইসলামিয়া, প্রেসিডেন্সি বা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়তে যেত। তবে সব কলেজের মধ্যে ইসলামিয়ায় এই বঙ্গের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। যা হোক, বঙ্গবন্ধু তখন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। থাকতেন বেকার হোস্টেলে। আমি তখন দিনাজপুরের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন নগণ্য সংগঠক। বঙ্গবন্ধু কলকাতায় বৃহত্তর পরিসরে সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। আন্দোলনের সূত্রেই আমরা মফস্বলের ছেলেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। বাড়ি থেকে পালিয়ে আমি একবার কলকাতায় গিয়েছি। ক’দিন ছিলাম ওখানে। তখন বঙ্গবন্ধুর রুমেই উঠলাম। এ সময়ই তাঁর সঙ্গে রুম শেয়ারের সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।

ডাইনিংয়ে তাঁর কুপন দিয়ে খাবার খেয়েছি। শুনেছি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বঙ্গবন্ধুর ওই রুমটিকে মিউজিয়াম বানিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর একটি বড় গুণ ছিল, তিনি যে কাউকে খুব সহজে আপন করে নিতেন আর ‘তুই’ বলে সম্বোধন করতেন। আমার সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ওই পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। আর তিনিও তখনই হয়ে গিয়েছিলেন আমার প্রিয় ‘মুজিব ভাই।’ তারপর থেকে এভাবেই তাঁকে সম্বোধন করতে অভ্যস্ত ছিলাম। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রশাসনিক নানা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গিয়েছি। বহুবার মুখ থেকে অজান্তে ‘মুজিব ভাই’ সম্বোধনটি চলে আসত। থতমত খেয়ে নিজেকে সামলে নিতাম। যোগাযোগ পরে বেড়েছে আরো। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বঙ্গবন্ধু কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে এলেন। ১৯৪৮ সালে ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ওদিকে আমিও একই সময়ে ভর্তি হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পরই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে পূর্ব বাংলার তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ ঘনীভূত হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু এবারো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। আবারো আন্দোলনের মধ্যে মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা-সাক্ষাৎ, বন্ধুত্ব।

প্রত্যেকটি ঘটনার শুরুরও শুরু থাকে। ভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এই প্রসঙ্গে তরুণ সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সোচ্চার হয়ে উঠছিল। এর কারণ ছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির আগেই ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে।’ বাঙালিদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় তখন থেকেই। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর প্রতিবাদে বললেন, ‘যেহেতু পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা বাংলা, তাই বাংলাকেই রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করতে হবে।’ এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে পুরান ঢাকায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের সেখানে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কারণ তাঁর মনে হচ্ছিল মুসলিম লীগের ছাত্রফ্রন্টের নেতা শাহ আজিজুর রহমানের পালিত সন্ত্রাসী, ঢাকার নওয়াব বাড়ি ও সরদার বাড়ির গুণ্ডারা এবং চকবাজার মসজিদের ইমামপক্ষের লোকেরা সভায় হামলা করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর কথা মেনেই আমি সভায় যাইনি। সভায় একমাত্র বক্তা ছিলেন তখনো ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। মনে আছে বঙ্গবন্ধু সভা থেকে ফিরে এলেন মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে। ব্যান্ডেজে রক্তের ছোপ দেখা যাচ্ছে। তাঁর কাছে জানতে পারলাম তিনি যা আশঙ্কা করেছিলেন, তাই সত্যি হয়েছে। সভায় হামলা করেছিল উর্দুরপক্ষের গুণ্ডারা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সেটাই প্রথম প্রকাশ্য প্রতিবাদ সভা।

ভাষার দাবিতে এভাবেই বাঙালি তরুণ ও বুদ্ধিজীবীরা ধীরে ধীরে সরব হয়েছেন। ১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। গ্রেফতার করে ক’জন নেতাকে। তাঁদের একজন বঙ্গবন্ধু, আমার মুজিব ভাই। এরপর থেকে প্রতি বছর ১১ মার্চ ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করতাম আমরা। বায়ান্নর পর বদলে গেছে দিনটা। তখন থেকে একুশে ফেব্রুয়ারিই হয়ে গেল আমাদের প্রাণের ভাষার দিন। এভাবেই আন্দোলনে-সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম লীগ তথা এস্টাবলিশমেন্টবিরোধী শক্তিগুলোকে একত্র করে। বঙ্গবন্ধু হলেন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা। আর আমরা তখন কর্মী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম ঘিরে অনেক সময় কাটালেও, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তিনি যে বিবাহিত বা ইতোমধ্যেই পুত্র-কন্যার বাবা হয়েছেন, তাও জানা হয়নি। বায়ান্নর পর জানতে পারলাম সেটা। এমনই আন্তরিক ছিলেন তিনি আন্দোলনের প্রতি, যে কারণে নিজের ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি নিয়ে ভাবতেন না।

আসলে অকস্মাৎ কিছু হয়ে যায় না। ইতিহাসের ধারায় একেকজন একেকটা সময়ের দাবি পূরণ করে হয়ে ওঠেন জননেতা বা জাতির জনক। যে বিবিসির বিচারে বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হয়েছেন, সেটা এমনি হয়নি। হঠাৎ করেই তিনি রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হননি। টুঙ্গিপাড়ার নদীঘেঁষা এক অখ্যাত গ্রামের গৃহস্থ শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমান হঠাৎ করেই বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি। এর পেছন ফিরে তাকালে দেখতে পাই, কীভাবে ধীরে ধীরে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এক মহানায়কের আবির্ভাব হয়েছে। আমার চোখে তাঁর শুরুটা দেখেছি। তারপর তাঁর শুধুই এগিয়ে চলার ধারাবাহিকতা। পঞ্চাশের দশকের আরো কিছু ঘটনা উল্লেখ করলে শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হয়ে ওঠার চিত্রটি পরিষ্কার হবে। ১৯৪৯ সালের সেই ভাষা আন্দোলনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় কয়েক ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করা হয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁদের একজন। ছ’জন মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফিরে পেলেও বঙ্গবন্ধু আপস করেননি। ফলে আর ছাত্রত্ব ফিরে পাননি। নানা আন্দোলনের ফলে জেলে যেতে হয়েছে তাঁকে একাধিকবার। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতেও তিনি ছিলেন জেলে। বাইরে যখন ছাত্রহত্যা হচ্ছে, ভেতরে তখন তিনি অনশন-ধর্মঘট করছেন। এভাবেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম ছিলেন তিনি পুরো সময়। বায়ান্নতে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন। সেখানেও গ্রাম পর্যায়ে সংগঠক তিনি। ততদিনে একজন তরুণ নেতা হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিত। মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পেলেন ওই বয়সেই। ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু প্রায় প্রতিটি আন্দোলনের প্রধান সংগঠক। ইতোমধ্যে বাঙালির স্বাধিকার-চেতনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন পুরোপুরি। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জš§শতবার্ষিকী পালন নিয়ে পূর্ব বাংলাজুড়ে তোলপাড়। ওদিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু। তারা যেন কীভাবে বুঝে গিয়েছিল, আমরা যে আলাদা জাতিসত্তা হিসেবে গড়ে উঠছি, তার প্রাণ হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাই ওরা চাচ্ছিল আমাদের জাতীয় গণমাধ্যমে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া বন্ধ করতে। এরই মধ্যে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলে, রেডিও-টিভিতে রবীন্দ্রসংগীত বাজানো এখন থেকে নিষিদ্ধ থাকবে। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, চল্লিশজন বুদ্ধিজীবী এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বক্তব্য দিলেন। প্রায় একই সময়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়িবই। আমরা রবীন্দ্রসংগীত গাহিবই।’ এভাবে ইতিহাসের ধারায় তিনি সবসময় সাহসী উচ্চারণের মাধ্যমে অনন্য হয়ে উঠেছেন। পড়েছেন মানুষের মনের কথা। এই যে বলতেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, এটা শুধু কথার কথা নয় তাঁর কাজ, তাঁর আদর্শ তাঁকে সাধারণের কাতার থেকে সাধারণের নেতা বানিয়ে দিয়েছে।

পঞ্চাশের দশকে যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি পার্লামেন্টেই বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে পূর্ব পাকিস্তান নয়, পূর্ব বাংলা বলতে চাই।’ বঙ্গবন্ধুর মতো এভাবে আর কে বলতে পেরেছিলেন? ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বললেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি আরো রক্ত দেব, দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ্।’ অথবা ‘আর আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না’। ৭ মার্চের ভাষণই তো একটি জাতির মুক্তির মহাবার্তা। আর কী দরকার? আমি দেখেছি একজন মহান সংগ্রামীকে। দেখেছি সংগ্রামে-সংগ্রামে রক্ত ঝরে গড়ে ওঠা এক নেতাকে। জাতিকে তার সত্তাকে চিনতে সাহায্য করা এক পিতাকে। তিনিই আমার মুজিব ভাই।

পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। কেন? এ প্রশ্নের উত্তর একটাই। যারা চায়নি এ জাতি গড়ে উঠুক, খুঁজে পাক সার্বভৌম ঠিকানা তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। কে জড়িত ছিল তাদের সঙ্গে? কারা বেনিফিসিয়ারি? খন্দকার মুশতাক তো খুব বেশিদিন ক্ষমতায় ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুশতাকের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলেও পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন অন্যরা। তাই ‘পুতুল’ মুশতাককে তারা সরিয়ে দেয় কয়েক মাস পরই। ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। এর পরের ইতিহাস তো দেশের সচেতন মানুষমাত্রই জানা। এমনকি বর্তমান প্রজšে§রও এই ইতিহাস অজানা নয়। বিলম্বে হলেও সপরিবারে তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয় তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার কারণে। আমরা ইতিহাসের কলঙ্ক দাগ মুছতে কিছুটা হলেও সক্ষম হই। কিন্তু আরো অনেক কিছু অজানা রয়ে গেছে যা উšে§াচনে উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

আমি বলব, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জড়িত কারো কারো চেহারা উšে§াচিত হয়েছে। তবে অনেকেরই অভিমত এ বর্বরোচিত অপকাণ্ডে জড়িত অন্যদের চেহারাও উšে§াচিত হওয়া দরকার। হ্যাঁ, অবশ্যই দরকার। আমাদের সামগ্রিক প্রয়োজনেই তা অত্যন্ত জরুরি। আজ তাঁর জš§দিনে গভীর শ্রদ্ধায় তাঁকে নিবেদন করি শ্রদ্ধাঞ্জলি। অসাম্প্রদায়িক, মুক্তবুদ্ধির চেতনার লালনভূমি হিসেবে আরো বিকশিত হোক আমাদের এই দেশ। যে দেশটির অভ্যুদয় ঘটেছে তাঁরই বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায়।

লেখক: শিক্ষাবিদ